রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বেসরকারি সিটি ব্যাংকের
সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল)
ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বেসিক ব্যাংকের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, একীভূত হওয়ার বিষয়ে বেসিক ব্যাংকের
পরিচালকরা একমত হয়েছেন। তবে সেটি অবশ্যই কোন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সঙ্গে
হতে হবে। সিটি কিংবা যে কোন বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার বিষয়ে
নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক বেসরকারি হয়ে যাচ্ছে এমন খবর প্রচার হওয়ার
প্রেক্ষাপটে বড় ধরণের সংকট তৈরি হতে পারে এ বিষয়টি সরকারকে জানানো হবে।
সূত্র জানায়, এরইমধ্যে বড় আমানতকারীরা তাদের আমানত উত্তোলনের জন্য চাপ
দিতে শুরু করেছে। বিভিন্ন কর্পোরেশন থেকেও চিঠি দেওয়া হচ্ছে। ফলে যেকোন সময়
বড় ধরণের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এ নিয়ে ব্যাংকের কর্মীরা উদ্বিগ্ন। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের
কাছে স্মারকলিপি দিয়ে বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না করার অনুরোধ
করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসব কারণেই বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
ব্যাংকটির পর্ষদ।
এ প্রসঙ্গে বেসিক ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু মো.
মোফাজ্জল গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন কর্পোরেট ডিপোজিটররা তাদের আমানত
উত্তোলনের জন্য চাপ দিচ্ছে। ব্যাংক একটা কঠিন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ
বিষয়টি সরকারকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি জানান, যেহেতু বেসিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, তাই ব্যাংকটির যেকোন
ক্ষতি রাষ্ট্রের ক্ষতির সামিল। তাই উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন আকারে বিষয়টি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে
বেসিক ব্যাংকের বোর্ড।