[ Online ] 19/04/2024 |
|
|
|
চাঁদপুরে টাকা নিয়ে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক উধাওয়ের ঘটনায় ৮ কর্মকর্তা প্রত্যাহার |
|
|
পূবালী ব্যাংক নতুন বাজার শাখার নিখোঁজ ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দী |
প্রতিনিধিচাঁদপুর
গ্রাহকদের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও পূবালী ব্যাংকের চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার শাখার ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দীর এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাখাটির বর্তমান ব্যবস্থাপকসহ আট কর্মকর্তাকে আজ বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে ব্যাংকের কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ব্যাংক কর্মকর্তা শ্রীকান্ত নন্দী বেশ কয়েকজন গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সপরিবার গা ঢাকা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় গত সোমবার থেকে গ্রাহকেরা ব্যাংকে ভিড় করছেন। শ্রীকান্ত নন্দীর নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তাঁর নিখোঁজের পর পূবালী ব্যাংক নতুন বাজার শাখার ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মো. হুমায়ূন কবির। তদন্তের স্বার্থে তাকেসহ আটজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে শ্রীকান্ত নন্দীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে থানায় লিখিত দিয়েছেন দুজন গ্রাহক। এ ঘটনায় ব্যাংকের একাধিক দল, দুদক ও পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। তবে কী পরিমাণ টাকা তছরুপ হয়েছে, সে বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
আট কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের তথ্য নিশ্চিত করে পূবালী ব্যাংক কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের আরএম (আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক) জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা পেট্রোলিয়াম কর্তৃপক্ষের ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার পে–অর্ডারের টাকার হিসাব পাচ্ছি না। সেটা ছাড়া বাকি যেসব টাকার বিষয় বলা হচ্ছে, তা ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দীর সঙ্গে ব্যক্তিগত লেনদেন ছিল।’ নিখোঁজ শ্রীকান্ত নন্দীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁকে কোথাও এখনো খুঁজে পাইনি। এ জন্য বিষয়টি র্যাবকে জানিয়েছি। তারা দেখছে ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দী সপরিবার বর্ডার ক্রস করেছে কি না।’
শ্রীকান্ত নন্দীর বিরুদ্ধে চেকের মাধ্যমে ২ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬২ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে চাঁদপুর মডেল থানায় ওকে এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হুমায়ন কবির বলেন, ‘আমরা এই ঘটনায় এখনো তদন্ত অব্যাহত রেখেছি।’ তিনি জানান, এ পর্যন্ত এমন দুটি অভিযোগ পেয়েছেন। অপরটি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আকবর হোসেন। তিনি ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। দুটি লেনদেন ব্যক্তিগত স্বার্থে হয়েছে বলে মনে করছেন। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|