Hawkerbd.com     SINCE
 
 
 
 
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া [ অনলাইন ] 29/04/2024
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে সবল ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া মাঝপথে থেমে যেতে পারে। শুধু পদ্মা ব্যাংক নিজ থেকে একীভূত হতে চাইছে। বাকি কোনও ব্যাংকই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় জবরদস্তির ঘটনায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে সবল ব্যাংকের একীভূতকরণে আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের অনেকেই আতঙ্কে আমানত তুলে নিচ্ছেন। এর ফলে ব্যাংকগুলোও নিজেরা এই প্রক্রিয়া থেকে সরে যেতে চাইছে।

এরইমধ্যে বেসরকারি ইউসিবির সঙ্গে একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে রাষ্ট্রীয় মালিকানার বেসিক ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। একই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক-রাকাব নিয়েও। কারণ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মতো একটি বড় লোকসানি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক-রাকাবকে একীভূত করা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। যেসব দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করার কথা বলা হচ্ছে— সেসব ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারি ও অর্থ লোপাটের অনেক ঘটনা থাকলেও রাকাবে এমন অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। তবে এই ব্যাংকটি একীভূত না করতে রাজশাহী অঞ্চলে আন্দোলন শুরু হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসির একটি বাদে সব ইন্ডিকেটরে ভালো থাকা সত্ত্বেও বিডিবিএলকে সংকটে পড়া সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে মার্জের প্রক্রিয়ার কথা বলা হচ্ছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া পদক্ষেপের সমালোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপিয়ে দেওয়া একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, ব্যাংকিং খাতের দুর্বল ব্যাংকগুলো রক্ষার নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূতকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে, যা আর্থিক খাতে সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচিত হওয়ার কথা। কিন্তু সংবেদনশীল ও জটিল এই কাজটি করতে আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত মানদণ্ড ও রীতিনীতি এবং এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজের ঘোষিত নীতিমালা না মেনে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জমান বলেন, একটি দুর্বল ব্যাংক ছাড়া কোনও ব্যাংকই নিজ উদ্যোগে একীভূত হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। আবার এ প্রক্রিয়ায় নাম আসা সবল ব্যাংকগুলো স্বীয় উদ্যোগে স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে এতে যুক্ত হতে সম্মত হয়েছে তাও নয়। অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়াটি প্রথম থেকেই স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা ঘোষিত নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এদিকে ১০টি ব্যাংককে পাঁচটিতে নামিয়ে আনার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে—তা সম্পন্ন করতে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকায় এগুলো কতদিনে শেষ হবে, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।

তবে যেসব সবল ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে, তাদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ধারণা—আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চার থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ হিসেবে তারা এখন পর্যন্ত শুধু এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংকের জন্য অডিটর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বিডিবিএল একীভূত করার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে দুই কোম্পানির পর্ষদ।

এখন বেশ কিছু ধাপের প্রস্তুতি শেষ করার পর ব্যাংকগুলোকে আদালতে গিয়ে একীভূত হওয়ার অনুমতি চাইতে হবে। আদালত অনুমতি দিলে এরপর ব্যাংকগুলো একীভূত করার কাজ শুরু হবে।

অবশ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকও বলেন, ‘একীভূতকরণ একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় কোনও দুর্বল ব্যাংক যদি সবল হয়, সে যদি চায় যে তারা মার্জারে যাবে না—তবে চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মার্জারের সিদ্ধান্ত থেকে সরেও আসতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংকের বাইরে অন্য ব্যাংক এমওইউ স্বাক্ষর করেনি।’

জানা গেছে, একীভূতকরণ নিয়ে ব্যাংক খাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে আমানত তুলে নিচ্ছেন। পরিস্থিতি সামলাতে গত ১৫ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক জরুরি ভিত্তিতে সাংবাদিকদের ডেকে জানায়—আপাতত পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে কোনও একীভূতকরণের আবেদন নেওয়া হবে না। যদিও এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর একাধিক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, ৮ থেকে ১০টি ব্যাংক একীভূত করা হবে। এরই অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতের জন্য দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক জারি করা হয়। এর আলোকে একটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ, মূলধন পরিস্থিতি, ব্যবস্থাপনা ও তারল্য পরিস্থিতি—এই ৪টি সূচকের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিধিনিষেধের চূড়ান্ত পর্যায়ে দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত না হলে ২০২৫ সালের মার্চ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এক করার কথা।

একীভূতকরণে যাচ্ছে না ন্যাশনাল ব্যাংক

ইউসিবির সঙ্গে একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, আগে থেকে কোনও ধরনের আলোচনা না করে হঠাৎ গত ৯ এপ্রিল ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হওয়ার কথা বলা হয়। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এ সিদ্ধান্ত জেনে আমানতকারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে শুরু করেন। তবে চাপিয়ে দেওয়া এ সিদ্ধান্ত পরিচালনা পর্ষদে অনুমোদন হয়নি। ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ঋণ আদায় জোরদার করবে।

এরইমধ্যে ব্যাংকটির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।

ঘোর আপত্তি বেসিক ব্যাংকের

বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের ঘোর আপত্তি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরকে স্মারকলিপি দিয়েছেন বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সম্প্রতি গভর্নরকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেছেন, দেশের ক্ষুদ্র শিল্পে অর্থায়নের লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে বেসিক ব্যাংক কার্যক্রম শুরু হয়, যা ১৯৯২ সালে শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে এটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক হিসেবে সরকারি আর্থিকসেবা দিয়ে আসছে। যা ২০১৫ সালে পুরোপুরি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে রূপান্তরিত হয়। জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী, বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেড নির্ধারণ এবং বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি প্রদান করা হয়। অথচ বেসরকারি মালিকানাধীন সিটি ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক মার্জারের বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছে—তা একেবারেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অযৌক্তিক।

সবল ব্যাংক কোনটি, রাকাব নাকি কৃষি?

রাকাবের কর্মকর্তা বলছেন, ব্যাংকটি গত তিন অর্থবছরে পরিচালন মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এই দাবি না মানা হলে উত্তরাঞ্চল অচল করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ১৬ এপ্রিল নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে রাজশাহীর বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা ও সচেতন নাগরিকরা ব্যাংক দুটি একীভূতকরণের প্রতিবাদে ব্যানার হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি রুহুল আমিন প্রামাণিক বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লোকসানে নিমজ্জিত। অপরদিকে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। একটি শক্তিশালী ব্যাংককে অসুস্থ একটি ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলকে অবহেলা করা হচ্ছে। এটা বীর মুক্তিযোদ্ধারা হতে দেবেন না। মানববন্ধনে বলা হয়, কর্তৃপক্ষ রাকাবকে কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে উত্তরাঞ্চলে হরতালের ডাক দেওয়া হবে। এরপরও যদি রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের দাবি না মানা হয়, তাহলে উত্তরাঞ্চল থেকে দেশের অন্য এলাকায় খাদ্যশস্য পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বিডিবিএলও সবল

দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার এই উদ্যোগের পর প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি দিয়েছে বিডিবিএল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসির একটি বাদে সব ইন্ডিকেটরে ভালো থাকা সত্ত্বেও বিডিবিএলকে সংকটে থাকা সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে মার্জের প্রক্রিয়া চলছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে মার্জার ইফেক্ট ব্যাংক পাড়ায়, একইসঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছে। ব্যাংকের আমানতকারী ও গ্রাহকরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। আমানতকারীরা আমানত তুলে নিচ্ছেন। গ্রাহকরা নতুন করে আমানত রাখতে ভয় পাচ্ছেন। ঋণ গ্রহীতারা ঋণ পরিশোধে বিলম্ব করছেন। এছাড়া ব্যাংক কর্মকর্তারাও এক ধরনের অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এর প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।

আতঙ্কে টাকা তুলছেন অনেকে

এরইমধ্যে ব্যাংকগুলো থেকে জমানো টাকা তোলার পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে বেসিক ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়ার খবর প্রকাশের পর গত সপ্তাহে দুই ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় গ্রাহকরা ভিড় জমাতে শুরু করেন।

পরিস্থিতি মোকাবিলার উপায় জানতে চেয়ে গত ১৮ এপ্রিল রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি দেয়।

বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গত সপ্তাহের কয়েক দিনে ব্যাংক থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। গত বছরের জুনে বেসিক ব্যাংকে আমানত ছিল ১৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যাংকটির সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সেই পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

অবশ্য একীভূত হলেও আমানতকারীদের অর্থ সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর দুই ব্যাংকের হিসাবধারীরা আগের মতোই তাদের নিজ নিজ হিসাব চালিয়ে যেতে পারবেন। এছাড়া ব্যাংকগুলোর স্পন্সর পরিচালক, বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিতে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। গত ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারে উল্লেখ করা নীতিমালা অনুসরণ করেই একীভূতকরণের সব কার্যক্রম সম্পাদন হবে।

কর্মীদের মধ্যেও উদ্বেগ

শুধু গ্রাহকরা আমানত তুলছেন এমনটি নয়, ব্যাংকের কর্মীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা।

যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, একীভূত হওয়া ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন বছরের মধ্যে ছাঁটাই করা যাবে না। তারপরও যেসব দুর্বল ব্যাংকের নাম একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় এসেছে, সেখানকার কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার তৈরি হয়েছে।

বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
News Source
 
 
 
 
Today's Other News
More
Related Stories
 
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
 
 
Home / About Us / Benifits / Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2013-2012, Allright Reserved