Hawkerbd.com     SINCE
 
 
 
 
অভিযুক্তরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে [ পাতা ১২ ] 05/05/2024
অভিযুক্তরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে
শাহ আমানতে সোনা চোরাচালান
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চারটি সোনার বারসহ আটক হন বিমানবন্দরে তৎকালীন স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তা ডা. এম জেড এ শরীফ মিঠু। আটকের পর তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে মুচলেখা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এ ঘটনার পর প্রায় চার মাস পার হলেও এখনো ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কিংবা স্বাস্থ্য বিভাগ। শুধু এম জেড শরীফ মিঠু নন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সোনা চোরাচালানের অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার তাসলিম আহমেদ বলেন, ‘বিমানবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাইলে সবাইকে একসঙ্গে বদলি করা সম্ভব নয়। তবে এরই মধ্যে অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বদলি করেছে সদর দফতর। বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সোনা চোরাচালানের ভয়ংকর তথ্য উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেওয়া গোপন এক প্রতিবেদনে। গত ১৫ নভেম্বর পাঠানো ওই প্রতিবেদনে ১১ কর্মকর্তা কর্মচারীর নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত কেবল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এভিয়েশন সিকিউরিটি শাখা প্রধান (এভসেক) সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম এবং বেবিচক স্টেট শাখার প্রধান মশিউর রহমানকে বদলি করা হয়েছে। বাকি ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন বহাল তবিয়তে। এ কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে প্রায় সবার বিরুদ্ধে রয়েছে সোনা চোরাচালানে সহায়তাসহ নানান অভিযোগ। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের বিমানবন্দর শাখার সহকারী কমিশনার মো. আলিফ রহমান নির্ভুল বলেন, চারটি স্বর্ণের বার নিয়ে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে আটক হন ডা. এম জেড এ শরীফ মিঠু। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা মুচলেকা দেওয়ায় তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা আমাদের জানানো হয়নি। সোনা চোরাচালানে অভিযুক্ত একজন কার্গো শাখার ইনচার্জ ওমর শরীফ। অভিযোগের বিষয়ে ওমর শরীফ বলেন, ‘কোনো ধরনের চোরাচালানের সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত নই। এ ধরনের অভিযোগের কেউ প্রমাণও করতে পারবে না।’
News Source
 
 
 
 
Today's Other News
• ৫২৩ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে উধাও ২ এজেন্সি মালিক
• দুবাইয়ে ৫৩২ বাংলাদেশির সম্পত্তি, কী বলছে দুদক
• মানব পাচার নিয়ন্ত্রণ করে ৭০ সিন্ডিকেট
• উপাচার্যের দুই ছেলে ও ভাগনির চাকরি, ভাড়ায় চলে স্ত্রীর গাড়ি
• শারজাহ থেকে আসা যাত্রীর শরীরে মিললো সাড়ে চার কোটি টাকার সোনা
• টেকনাফ ও রামুতে ৪ কেজি আইস উদ্ধার
• সিলেটে টাকা নিয়ে লাপাত্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারী
• শারক্বিয়ার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী গ্রেপ্তার
• অনলাইনে সক্রিয় কিডনি কেনাবেচার দালালচক্র
• ৫২৩ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে উধাও দুই এজেন্সি
More
Related Stories
 
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
 
 
Home / About Us / Benifits / Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2013-2012, Allright Reserved