[ অনলাইন ] 06/05/2024 |
|
|
|
ফের ন্যাশনালের পর্ষদ ভেঙে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক |
|
|
সাড়ে চার মাসের মাথায় ফের ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ন্যাশনাল ব্যাংকের বিদ্যমান পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদও গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে আগের পর্ষদের পারভিন হক সিকদারসহ অধিকাংশ পরিচালকই বাদ পড়েছেন। এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুপারিশে ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে দিয়েছিল ব্যাংক খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এ বিষয়ে গতকাল ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিতকল্পে ও জনস্বার্থে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-র ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নতুনভাবে গঠন করা হলো।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকটির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য পরিচালনা
পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়ছে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক যে পর্ষদ গঠন করে দিয়েছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজন পদত্যাগ করেছিলেন। তাই নতুন করে পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। এখন থেকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব পালন করবেন।
সম্প্রতি নানামুখী সংকটে পড়া ন্যাশনাল ব্যাংককে (এনবিএল) সম্প্রতি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এখনই কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে অপারগতা প্রকাশ করে ন্যাশনাল ব্যাংক। গত ২৭ এপ্রিল ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়। এমন সিদ্ধান্তের পরই ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকটির নতুন পর্ষদে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন উদ্যোক্তা পরিচালক এবং কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ন্যাশনাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রতিনিধি পরিচালকের মধ্যে রয়েছেন লে.জে. মো. সফিকুর রহমান (অব), প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম (এফসিএমএ), ব্যবসায়ী এরশাদ মাহমুদ, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল করিম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর একেএম তফাজ্জল হক। আর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দীন নিজামী, ড. রত্না দত্ত (এফসিএ) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবিএম জহুরুল হুদা। আগের পর্ষদের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন ছাড়া নতুন পর্ষদে আর কাউকে রাখা হয়নি।
আর্থিক নানা অনিয়মের কারণে সংকটে পড়া সিকদার গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ সাড়ে চার মাস আগে ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় ব্যাংকটির পর্ষদ থেকে মনোয়ারা সিকদার, রন হক সিকদার, রিক হক সিকদার, নাইমুজ্জামান ভূঁইয়া ও মুরশিদ কুলি খানকে বাদ দেওয়া হয়। কেবল সিকদার গ্রুপ থেকে পারভীন হক সিকদারকে পরিচালক রাখা হয়। তবে গতকাল নতুন পর্ষদ থেকে তাকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ সিকদার গ্রুপের বাইরে চলে গেছে। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|