[ অনলাইন ] 07/05/2024 |
|
|
বগুড়া সদর |
বিপুল অর্থ-সম্পদে দুই প্রার্থীকে পেছনে ফেলেছেন লিটন |
|
|
বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যে তিন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন তাদের মধ্যে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটন। এই যুবলীগ নেতা এত অর্থ-সম্পদ করেছেন, যা ‘আলাদিনের চেরাগ’ হাতে পাওয়ার মতো। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় তাঁর সম্পদের তথ্য মিলেছে। তবে আরও অনেক সম্পদের মালিক তিনি। হলফনামায় তা গোপন করেছেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
লিটন তাঁর বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২০ লাখ ২৮ হাজার ৭৫০ টাকা। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে ১৬ লাখ টাকা, পাঁচতলা বাড়ি ভাড়া থেকে ২ লাখ টাকা এবং শেয়ার সঞ্চয়পত্র থেকে ২ লাখ ২৮ হাজার ৭৫০ টাকা। তাঁর স্ত্রীর আয়ও কম নয়।
তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা রানী পোদ্দার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি বছরে আয় দেখিয়েছেন ৮ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৭ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি ভাড়া ৬০ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে আয় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪৭৯ টাকা এবং চাকরি থেকে আয় ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১০৮ টাকা। লিটনের নগদ হাতে আছে ৩ লাখ টাকা, জীবন বীমায় জমা আছে ১০ লাখ ২১ হাজার ৩০৬ টাকা, সঞ্চয়পত্র আছে ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, স্ত্রীর নামে আছে ৩৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ব্যাংকে জমা আছে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫৩২ টাকা।
লিটনের নিজের যেমন ১০ ভরি স্বর্ণালংকার আছে, তেমনি স্ত্রীরও একই পরিমাণ স্বর্ণালংকার আছে। হাউজিং ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন ১ কোটি টাকা। ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ অকৃষি জমির মালিক তিনি। যার মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র ৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। দুটি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। দাম দেখিয়েছেন মাত্র ৪২ লাখ টাকা। মোমিন মার্কেটে আছে পাঁচটি দোকান, রানার প্লাজায় একটি এবং রেলওয়ে মার্কেটে তিনটি দোকান। আরও আছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার সম্পদ। লিটনের দাবি, তিনি একটি কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে সম্পদ গড়েছেন।
অপরদিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক বছরে আয় দেখিয়েছেন ব্যবসা থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্মানী বাবদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ব্যবসার পুঁজি আছে হাতে ৩১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ২৫ হাজার টাকা এবং ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৮০ হাজার টাকার আসবাবপত্র আছে। তাঁর একটি সেমিপাকা বাড়ি আছে। তৈরি করছেন চারতলার একটি বাড়ি।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহামুদ খান রনির বছরে ব্যবসা থেকে আয় ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। ব্যবসার পুঁজি আছে ২৮ লাখ ৫ হাজার টাকা, ব্যাংকে আমানত আছে এক লাখ টাকা, একটি মাইক্রোবাস আছে যার মূল্য দেখানো হয়েছে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে আছে ১০ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র আছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার। কৃষিজমি আছে ২২ লাখ টাকার, অকৃষি জমি আছে ২০ লাখ ৫ হাজার ২৮০ টাকার। একটি বাড়ি আছে যার দাম ৩০ লাখ টাকা। ব্যাংক এশিয়া থেকে ঋণ নেওয়া আছে ২২ লাখ ৪৯ হাজার ১৩৯ টাকা।
আগামী ২৯ মে বগুড়া সদর উপজেলায় তৃতীয় ধাপের নির্বাচন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|