[ অনলাইন ] 07/05/2024 |
|
|
|
চট্টগ্রামের ১২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতি ৪ জন |
|
|
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের তিন উপজেলায় ১২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে চারজনের। তবে বাকি কয়েকজনও মোটা অঙ্কের অর্থ-সম্পদের মালিক। তিন উপজেলার মধ্যে কোটিপতি প্রার্থী বেশি সন্দ্বীপে। এখানে দু’জনের সম্পদ দুই কোটি টাকার ওপরে। মিরসরাইয়ে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতি একজন। আর সীতাকুণ্ডে দুই প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতি একজন। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া যায়।
তিন কোটির মালিক নাজিম উদ্দিন
সন্দ্বীপে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন (জামশেদ) পেশায় আইনজীবী ও ব্যবসায়ী। হলফনামা অনুযায়ী, ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার সম্পদের মালিক তিনি। তাঁর রয়েছে একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবন। যার দাম ৯২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এ ছাড়া তিন তলা আরেকটি বাড়ি রয়েছে তাঁর। যার দাম ৪৪ লাখ টাকা। কৃষিজমি আছে ৪৮ লাখ টাকার। ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকার রয়েছে অকৃষি জমি। নগদ টাকা রয়েছে ৫৬ লাখ টাকা। মৎস্য খামার রয়েছে ২০ লাখ টাকার।
এই উপজেলায় আরেক প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আড়াই কোটি টাকার সম্পদের মালিক। ব্যবসা থেকে তাঁর বছরে আয় ৮৩ লাখ টাকা। গরুর খামার থেকে আয় করেন ৩ লাখ টাকা। হাতে নগদ টাকা আছে ৫ লাখ টাকা। ব্যাংকে আছে ২ লাখ টাকা। কৃষিজমি আছে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার। দালান রয়েছে ১১ লাখ টাকার। ডেইরি খামার রয়েছে ১৮ লাখ টাকার। এ ছাড়া তাঁর নির্ভরশীলদের নামে রয়েছে ৬৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার জমি।
সন্দ্বীপে অপর প্রার্থী ফোরকান উদ্দিন আহমেদ প্রায় ৭৬ লাখ টাকার সম্পদের মালিক। তাঁর বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে ৩৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার। হাতে নগদ রয়েছে ১২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। ব্যাংকে রয়েছে ৭ লাখ টাকা। শেয়ার, ঋণপত্র বাবদ আছে ৫ লাখ ৬ হাজার। বাস-ট্রাক আছে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
এ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মিশন কৃষি থেকে বছরে আয় করেন ২ লাখ টাকা। তাঁর নগদ রয়েছে ৫ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ২ লাখ টাকা। কৃষিজমি রয়েছে ৮ লাখ টাকার। এ ছাড়া ১৬০ শতক অকৃষি জমি রয়েছে তাঁর। হলফনামায় স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের আয়ের ঘরে কিছু উল্লেখ করেননি তিনি। এখানে অপর প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ জুয়েল হলফনামায় ১৫ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য দেখিয়েছেন।
মিরসরাইয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে এনায়েত
মিরসরাইয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন বিপুল সম্পদের মালিক। তাঁর ব্যাংকে জমা ৯০ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে তিনি বছরে আয় করেন ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চাকরি থেকে আসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তাঁর যানবাহন রয়েছে ৬৬ লাখ টাকার। নিজের নামে স্বর্ণ আছে ৩ লাখ টাকার। পৈতৃক সূত্রে ২০ একর জমির যৌথ মালিক তিনি। অকৃষি জমি রয়েছে ৯৪ দশমিক ৯৪ শতক। যার দাম ২০ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। রয়েছে পাঁচ তলা একটি দালান। ২০ লাখ টাকার রয়েছে মাছের খামার ও গাছপালা।
এখানে আরেক প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমানের নগদ আছে ১৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে তিনি বছরে আয় করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রয়েছে ২০ ভরি স্বর্ণ। ঢাকার পূর্বাচলে তিন কাঠা জমি রয়েছে। যার মূল্য দেখিয়েছেন ৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
বাকি তিন প্রার্থীর মধ্যে মোহাম্মদ মোস্তফার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০ লাখ টাকা, উত্তম কুমার শর্মা প্রায় ৩৮ লাখ এবং ফেরদৌস হোসেন আরিফ প্রায় ২৩ লাখ টাকার সম্পদের মালিক।
সীতাকুণ্ডে কোটিপতি মঞ্জু
সীতাকুণ্ডে এবার চেয়ারম্যান প্রার্থী দু’জন। তারা হলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মহীউদ্দীন আহমেদ মঞ্জু ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আরিফুল আলম চৌধুরী।
এই দু’জনের মধ্যে সম্পদ বেশি মঞ্জুর। হলফনামা অনুযায়ী তিনি প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার সম্পদের মালিক। বিএ পাস মঞ্জু ব্যবসা থেকে বছরে আয় করেন ২৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। কৃষি থেকে আয় ৩ লাখ টাকা। হাতে নগদ আছে ৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা। তাঁর ১৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা জমা আছে ব্যাংকে। স্বর্ণ রয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার। আছে ৩ একর কৃষিজমি, যার দাম ৩০ লাখ টাকা।
অন্য প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল আলম চৌধুরীর ব্যবসা থেকে বছরে আয় ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। তাঁর নগদ আছে ৪ লাখ টাকা। ব্যবসার মূলধন আছে ২১ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ রয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এ ছাড়া তাঁর স্বর্ণ আছে ৩০ ভরি। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|