রংপুরে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
(বিকেবি) একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে
রংপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ
গ্রাহকরা। রোববার রাকাব ও বিকেবি একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে
রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সভা হয়েছে।
রাজশাহী কৃষি
উন্নয়ন ব্যাংক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান ঝন্টুর
সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ
সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিভাগীয় ও
জেলা সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন, রাজনীতিবিদ স.ম আমজাদ হোসেন সরকার, অধ্যাপক
আব্দুস সোবহান, মঞ্জিল মুরাদ লাবলু, এস.এম আশিকুল ইসলামসহ অন্যরা। বিক্ষোভ
সভায় বক্তারা বলেন, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল তথা রংপুর-রাজশাহীর সুবিধা
বঞ্চিত কৃষকদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে রাকাব ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর
থেকে খাদ্য শস্য ভান্ডার খ্যাতি হিসেবে উত্তারঞ্চল পরিচিত হয়েছে। উত্তরের
অবহেলিত রংপুর অঞ্চলে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে ধান, গম, ভুট্টাসহ
বিভিন্ন শাক-সবজি ও গবাদি পশু পালনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত
হয়েছে। দুর হয়েছে মঙ্গা। রাকাব ব্যাংকের অবদানের কারণে আজ এ অঞ্চল খাদ্যে
স্বয়ং সম্পূর্ণ। এছাড়াও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের রয়েছে আধুনিক ও
অনলাইন ব্যাংকিং সেবা। কৃষকরা সস্তায় ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে সব
ধরনের আধুনিক সেবা গ্রহণ করছেন। এছাড়াও এ ব্যাংকের রয়েছে মুঠোফোনের
অ্যাপভিত্তিক সেবা।
ফলে কৃষকরা ঘরে বসে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করছেন। করোনাকালীন ২০২০ সালে
প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় রাকাব ভূমিকা রেখে স্বীকৃতি
স্বরূপ প্রশংসিত হয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন
ব্যাংকে বর্তমানে আমানতের পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা এবং ঋণের
পরিমাণ প্রায় আট হাজার কোটি টাকা। বক্তারা আরও বলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন
ব্যাংক রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নের প্রতীক লোকসানি ব্যাংকের সঙ্গে
একীভূত করার ষড়যন্ত্র করে উন্নয়ন ব্যাহত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যা মেনে
নেয়া যাবে না। মানববন্ধনে আসা গ্রাহক রেজাউল করিম জীবন, মতিয়ার রহমান,
মোজাম্মেল হোসেন, আব্দুর সশিদ, সাইদ, সাগর, একরামুল, রফিকুল, স্বাধীন,
জাকের, সিরাজ, ওয়াহেদ, রাজা, দীজেন্দ্র নাথ, বিরু, রতন, ইদ্রিস, জাহেদুলসহ
অন্যান্যরা অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে উত্তরাঞ্চলকে আরও উন্নয়নের
দিকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানান।