তা দেখে একদল সাংবাদিক নাস্তার প্যাকেট নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের অফিস ত্যাগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত একজন সাংবাদিক বলেছেন, একটি ব্যাংকের পক্ষে প্রচারণার জন্য সাংবাদিকদের অর্থ প্রদান করা খুবই বিব্রতকর।

ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক তাদের ব্যাংক এবং তিনি আশা করেন সবাই ব্যাংক সম্পর্কে ইতিবাচক লিখবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই তাড়াহুড়ো করে সংবাদ সম্মেলন ত্যাগ করেন খলিলুর রহমান।

এদিকে উচ্চ খেলাপি ঋণে ভুগতে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড টানা দ্বিতীয় বছরের মতো লোকসান করেছে। ২০২৩ সালে ন্যাশনাল ব্যাংকের লোকসান হয়েছে ১ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা।

এর আগের বছর ন্যাশনাল ব্যাংকের লোকসান ছিল ৩ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। সুতরাং ২০২৩ সালে আগের বছরের চেয়ে লোকসান প্রায় ৫৪ শতাংশ কমলেও লোকসানের অঙ্ক এখনো বেশি।

ন্যাশনাল ব্যাংক ২০১৯ সালে ৪১৯ কোটি, ২০২০ সালে ৩৪৮ কোটি এবং ২০২১ সালে ১৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছিল। কিন্তু এরপর খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় পরের বছর থেকে দৃশ্যপট বদলে যায়।

১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বেসরকারি ব্যাংকটি ২০২২ সালে সর্বোচ্চ ক্ষতির মুখে পড়েছিল। কারণ সুদ মওকুফ বাড়ানো এবং ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকটির সুদ আয় কমে যায়।