[ Online ] 19/04/2024
 
আতার সম্পদ বেড়েছে রকেট গতিতে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় আতা ব্যবসা, স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে মোট সম্পদ উল্লেখ করেন ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বার্ষিক আয় দেখান ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর তিন মাস পর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হন। সেই নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তাঁর সম্পদ বেড়ে দাড়ায় ৩ কোটি ৫ লাখ টাকার ওপরে।
এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ৫ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে রকেট গতিতে। অনেকটা খালি হাতে ভেড়ামারা উপজেলা থেকে কুষ্টিয়া শহরে আসা আতাউর রহমান যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকা বেড়েছে ১৭৬ গুণের বেশি। এর মধ্যে ব্যাংকে জমা ৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা; এফডিআর আছে ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। গত উপজেলা নির্বাচনে তিনি ব্যাংকে জমা দেখিয়েছিলেন ৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আতা ও তাঁর স্ত্রীর নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সেই মামলায় জামিনে আছেন তারা।

৫ বছরে আতার শুধু নগদ অর্থই বাড়েনি; বেড়েছে অ্যাপার্টমেন্ট, ফ্ল্যাট ও দালান বাড়ি। একই সঙ্গে বেড়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ও দোকান। কৃষি ও অকৃষি জমিও বেড়েছে। আগে লাখ টাকা দামের গাড়িতে চড়লেও এখন কোটি টাকার গাড়িতে ঘোরেন। এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তিনি ১৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পদের মালিক। পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন ঠিকাদারি ব্যবসা।

গত ৫ বছরে কুষ্টিয়ায় বহুতল বাড়ি নির্মাণ করেছেন। রাজধানীতে কিনেছেন একাধিক ফ্ল্যাট। হলফনামায় নির্মাণাধীন বাড়ির মূল্য দেখিয়েছেন ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আছে ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট। এ ছাড়া ঢাকার পাইকপাড়া আহাম্মদনগরে ২৯ লাখ টাকা মূল্যের একটি এবং মিরপুরের ফেইথ গার্ডেনে ৩১ লাখ টাকার ফ্ল্যাট আছে। কুষ্টিয়াসহ আশপাশে ১৭টি দোকানও রয়েছে।

আতাউর রহমান আতার সম্পদ দ্রুত বাড়লেও সে তুলনায় তাঁর ঋণ অনেক কম। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা আগের দুই হলফনামায় তাঁর কোনো ঋণ না থাকলেও এবারের হলফনামায় পূবালী ব্যাংক থেকে গাড়ি কেনা বাবদ ৩০ লাখ ১৬ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।