Hawkerbd.com     SINCE
 
 
 
 
bd24live.com [ অনলাইন ] 23/05/2024
পতাকা নিয়ে ৪১ হাজার ফুট উঁচুতে উড়া বিমান থেকে লাফ দেবেন এক বাংলাদেশি

ছোটবেলায় আকাশে উড়ে যাওয়া বিমান নিয়ে আমাদের কত কত কৌতূহল ছিল। এরপর উড়তে থাকা বিমানের মতে মানুষকেও আজকাল উড়তে দেখা যায়। টিভির পর্দায়, সিনেমার পর্দায় অনেকসময়ই এই দৃশ্য দেখা যায়। বিমান থেকে প্যারাস্যুট বেঁধে ঝাঁপ দিচ্ছে এক বা একসঙ্গে অনেকে। তারপর হাওয়ায় ভেসে নীচে নামতে নামতেই খুলে যাচ্ছে প্যারাস্যুট। এরপর পাখির মতো ভেসে আলতো করে মাটি ছোঁয়া।

কৌতূহল আর কল্পনার মতো সুন্দর এই বিষয়টির নাম স্কাইডাইভিং। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা। কল্পনা করুণ তো, বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে পাখির মতো এমন করে উড়তে উড়তে কেউ মাটি ছোঁয়ার দৃশ্যটা কতটা নান্দনিক লাগবে? এবার তেমনই এক দৃশ্য আমরা দেখতে যাচ্ছি বাংলাদেশি স্কাইডাইভার আশিক চৌধুরীর কল্যাণে।

আগামী মে মাসে ৪১ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ে যাওয়া বিমান থেকে লাফ দেবেন তিনি। যেখানে তার পিঠে থাকবে প্যারাস্যুট আর হাতে থাকবে আমাদের গর্বের লাল-সবুজ পতাকা। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গড়তে আশিকের এই প্রচেষ্টার নাম ‘দ্য লারজেস্ট ফ্ল্যাগ ফ্লোন স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার’। ভূপৃষ্ঠ ছাড়িয়ে ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী জায়গাকে বলা হয় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।

বাংলাদেশের এই স্কাইডাইভার রেকর্ড গড়তে যুক্তরাষ্ট্রের একটি এয়ারফিল্ডে গিয়ে প্রচেষ্টা চালাবেন। এই চেষ্টা  যুক্তরাষ্ট্রে কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে আশিক বলেন, ‘সাধারণত বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ ৩৫ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে চলাচল করে। এর ওপরে উঠতে বিশেষায়িত বিমান দরকার হয়। সঙ্গে লাগে অনুকূল আবহাওয়া, যা এই এয়ারফিল্ডের আকাশে পাওয়া যায়।’

আশিক চৌধুরির গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। তবে বাবার চাকরির সুবাদে তার বেড়ে ওঠা যশোরে। স্কুল-কলেজের পাট চুকিয়েছেন সিলেট ক্যাডেট কলেজে। এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ)। ২০০৭ সালে স্নাতক হয়েই যোগ দেন দেশের বেসরকারি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। যেখানে ২০১১ সাল পর্যন্ত চাকরি করেছিলেন।

আশিক চৌধুরীর প্রথমবার স্কাইডাইভিংয়ের স্বপ্নপূরণ হয় ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। সেদিন যুক্তরাজ্যের ব্র্যাকলি শহরের হিনটন স্কাইডাইভিং সেন্টারে হাজির তিনি। জাম্পস্যুট, হেলমেট, প্যারাস্যুট, গগলসসহ যাবতীয় সুরক্ষাসামগ্রী পরে উঠে পড়লেন প্লেনে। সঙ্গে দুজন প্রশিক্ষিত স্কাইডাইভার। কয়েক হাজার ফুট ওপরে ওঠার পর একজন স্কাইডাইভার আশিককে সঙ্গে নিয়ে বিমান থেকে লাফ দেন।

এরপর ২০১৪ সালে ভর্তি হন একটি প্রাইভেট পাইলট প্রশিক্ষণ স্কুলে। এক বছর ধরে চলে প্রশিক্ষণ। এরপর একদিন ককপিটে বসেন আশিক। লন্ডন থেকে উড়োজাহাজ নিয়ে ছুটে যান পাশের এক শহরে। এভাবে পাইলটও বনে যান তিনি। সঙ্গে স্কাইডাইভিংয়ের শখতো রয়েছেই। সেই থেকে তার স্কাইডাইভিংয়ের নেশা।
News Source
 
 
 
 
Today's Other News
• মৃত্যুর পর ঋণ নিলেন ১৪ জন!
• বাজেটে ব্যাংকিং খাতের ‘রোগ’ সারানোর উদ্যোগ নেই
• সোনালী ব্যাংককে বড় ধরনের জরিমানা করল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক
• ব্যাংক থেকে কত ঋণ নেবে সরকার?
• সোনালী ব্যাংককে কোটি রুপি জরিমানা করল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক
• সোনালী ব্যাংককে কোটি রুপি জরিমানা করল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক
• সোনালী ব্যাংককে কোটি রুপি জরিমানা করল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক
• টাকা ছেড়েও কুলাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক
• সোনালী ব্যাংককে ৯৬ লাখ রুপি জরিমানা করলো ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক
• কমেছে আমানত-আমানতকারী, বেড়েছে ঋণ বিতরণ
More
Related Stories
 
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
 
 
Home / About Us / Benifits / Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2013-2012, Allright Reserved