এ বিষয়ে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি চাহিদাতাড়িত নয়; এটি বাড়তি উৎপাদন খরচতাড়িত মূল্যস্ফীতি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ মূল্যস্ফীতি কমিয়েছে, কিন্তু আমরা পারছি না।’
শামসুল আলমের মতে, প্রাথমিক পণ্য ও কাঁচামালের আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে, যা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমতে আরও এক বছর লাগবে। এ জন্য গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমানোর পরামর্শ দেন তিনি।
দেশের অর্থনীতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এটি একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বাড়লে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।