Hawkerbd.com     SINCE
 
 
 
 
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ . ১% হতে পারে [ অনলাইন ] 16/04/2024
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ . ১% হতে পারে
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ হবে এবং আগামী অর্থবছরে এটি বেড়ে ৬.৬ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) তাদের সর্বশেষ পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থা আরো জানায়, ব্যাপক অভ্যন্তরীণ চাহিদা, সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানির উন্নতি এবং পর্যটন পুনরুদ্ধারের মধ্যে এই অঞ্চলের স্থিতিস্থাপক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো এই বছর গড়ে ৪.৯ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

এডিবি প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) এপ্রিল ২০২৪ অনুযায়ী, আগামী বছরও একই হারে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

দুই বছর ধরে অনেক অর্থনীতিতে উচ্চতর খাদ্যের দাম বাড়ার পরে ২০২৪ ও ২০২৫ সালে মুদ্রাস্ফীতি মাঝারি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত একটি প্রধান প্রবৃদ্ধির চালক হিসেবে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এই বছর ৭ শতাংশ এবং পরের বছর ৭.২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। চীনের প্রবৃদ্ধি গত বছরের ৫.২ শতাংশ থেকে এই বছর ৪.৮ শতাংশ এবং পরের বছর ৪.৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ আলবার্ট পার্ক বলেন, ‘আমরা চলতি বছর এবং আগামী বছর উন্নয়নশীল এশিয়ার বেশির ভাগ অর্থনীতির শক্তিশালী ও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি।

’ তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের আস্থা উন্নত হচ্ছে এবং বিনিয়োগ সামগ্রিকভাবে স্থিতিস্থাপক। বাহ্যিক চাহিদাও কমে আসছে বলে মনে হচ্ছে, বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে।’
নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ বেশ কয়েকটি ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্ন, মার্কিন আর্থিক নীতি সম্পর্কে অনিশ্চয়তা, চরম আবহাওয়ার প্রভাব এবং চীনে আবাসন বাজারের আরো দুর্বলতা।

উন্নয়নশীল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতি এই বছর ৩.২ শতাংশ এবং আগামী বছর ৩ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ বিশ্বব্যাপী মূল্যের চাপ হ্রাস পাবে এবং অনেক অর্থনীতিতে মুদ্রানীতি কঠোর থাকবে। তবে চীন বাদে এই অঞ্চলে মূল্যস্ফীতি এখনো কভিড-১৯ মহামারির আগের চেয়ে বেশি।

চালের দাম খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে আমদানিনির্ভর অর্থনীতির জন্য। এডিও এপ্রিল ২০২৪ অনুসারে, এ বছর চালের দাম বাড়তে পারে।

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফসলের ক্ষতি এবং চাল রপ্তানিতে ভারতের বিধি-নিষেধও এর অন্যতম কারণ। লোহিত সাগরে জাহাজের ওপর হামলা এবং পানামা খালে খরার কারণে বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচলের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে।

চালের ক্রমবর্ধমান দাম মোকাবেলা এবং খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সরকার ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে ভর্তুকি দিতে পারে এবং মূল্য হেরফের ও মজুদদারি রোধে বাজারের স্বচ্ছতা ও পর্যবেক্ষণ বাড়াতে পারে।

মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদি নীতিতে মূল্য স্থিতিশীল করার জন্য কৌশলগত চালের মজুদ প্রতিষ্ঠা, টেকসই চাষ ও ফসল বৈচিত্র্যকরণকে উৎসাহিত করা এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কৃষি-প্রযুক্তি ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। আঞ্চলিক সহযোগিতা চালের দাম এবং এর প্রভাব মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
News Source
 
 
 
 
Today's Other News
More
Related Stories
 
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
 
 
Home / About Us / Benifits / Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2013-2012, Allright Reserved