[ অনলাইন ] 29/04/2024 |
|
|
|
চকরিয়া সমাজসেবা কর্মকর্তার জন্য ঘুস নিলেন গুনে গুনে |
|
|
কক্সবাজারের চকরিয়া সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনের জন্য গুনে গুনে ঘুসের টাকা নিচ্ছেন-এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। নিজ কার্যালয়ে বসে ঘুসের টাকা বুঝে পাওয়ার কথা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করতেও দেখা যায় তাকে।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি মমতাজকে পকেট থেকে এক হাজার টাকার কিছু নোটের একটি বান্ডেল দেন। মমতাজ জানতে চান, এখানে কত দিয়েছেন? তখন ওই ব্যক্তি গুনে নিতে বললে তিনি টাকাগুলো গুনতে থাকেন। ভিডিওতে ঘুস দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি হারবাং মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য। এ ব্যাপারে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, সচিব, দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, এতিমখানার বরাদ্দের টাকা তুলতে গিয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ ও অফিস সহকারী মমতাজের সঙ্গে তিন দফা বৈঠক করি। ২০২৩-২৪ সালের প্রথম কিস্তির এক লাখ ৯২ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা তাদের ঘুস দিতে হবে। নইলে এতিমখানার টাকা ফেরত পাঠিয়ে দেবেন। তাদের কথায় রাজি হয়ে চেক গ্রহণ করি। এ মাসের ৮ তারিখ অফিসে গিয়ে মমতাজকে ৪০ হাজার দিই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমজাদ হোসেনকে ফোন করে বলেন, রফিক মেম্বার আমার সঙ্গে বাটপারি করেছে। দ্বিতীয় কিস্তির সময় ৪০ হাজার টাকা কেটে রাখব।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চকরিয়ায় সমাজসেবার তালিকাভুক্ত ২৮টি এতিমখানা রয়েছে। সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন এতিমখানা অডিট করতে গেলে ১০ হাজার করে টাকা নেন। টাকা না দিলে অডিট না করেই চলে আসেন। এতিমখানা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও উপবৃত্তি উত্তোলনের সময় তাকে ঘুস দিতে হয়।
এ বিষয়ে মমতাজ বেগম যুগান্তরকে বলেন, আমার স্বামীর পাঠানো টাকা গুনে নেওয়ার সময় কে বা কারা গোপনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছে। এগুলো ঘুসের টাকা নয়।
সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়ে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক হাসান মাসুদ বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|