Hawkerbd.com     SINCE
 
 
 
 
সর্বজনীন পেনশনের গ্রাহক ১ লাখ ছাড়াল [ পাতা ৭ ] 30/04/2024
সর্বজনীন পেনশনের গ্রাহক ১ লাখ ছাড়াল
সাড়ে ৮ মাসে চাঁদা জমা ৫২ কোটি টাকা ► পেনশনের অর্থের ৪২ কোটি টাকা বন্ডে বিনিয়োগ
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি গত আগস্টে উদ্বোধনের পর প্রায় সাড়ে আট মাসে এর চার স্কিমে নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। এসব গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা জমা পড়েছে ৫২ কোটি টাকার কিছু বেশি।

গতকাল সোমবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত বছরের ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
 

শুরু থেকেই বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’—এই চার স্কিম সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। উদ্বোধনের পর প্রথম এক মাসে চার স্কিমে গ্রাহক হয়েছিলেন ১২ হাজার ৮৮৯ জন। পরবর্তী সময়ে সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম নামে নতুন স্কিম চালু করা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই ২০২৪ সাল থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এই স্কিম চালুর পর ধীরগতি চলছিল। পাঁচ মাস পর্যন্ত এক হাজার থেকে দেড় হাজার করে বাড়ছিল। তবে ষষ্ঠ মাস থেকে চাঁদা দাতার প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট মাসে চার ধরনের পেনশন কর্মসূচিতে গ্রাহক হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ২২৬ জন।
সব গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা জমা পড়েছে ৫২ কোটি ৬৬ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ৪২ কোটি সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। সর্বজনীন পেনশনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে মাঠ প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ‘সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটি’ গঠন করা হয়েছে এবং মাঠ প্রশাসনকে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিভাগভিত্তিক মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ফলে কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা নিয়মিতভাবে যথাক্রমে বিভাগ, জেলা ও উপজেলাভিত্তিক নিবন্ধন মনিটরিং ও বাস্তবায়ন করছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন মেলা ও কর্মশালার আয়োজন করে সব শ্রেণি-পেশার জনগণকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল রাজশাহীতে বিভাগীয় পেনশন মেলা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বাকি সাত বিভাগে বিভাগীয় মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিতরণের জন্য মাঠ প্রশাসনের কাছে এর মধ্যে পর্যাপ্তসংখ্যক ফ্লায়ার ও বুকলেট পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে এখন নিবন্ধন সংখ্যার মাইলফলক এক লাখ অর্জিত হয়েছে। এরই মধ্যে চাঁদা দাতাদের অর্থ থেকে নিরাপদ ট্রেজারি বন্ডে ৪২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। সবার সহযোগিতায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পেনশন কর্তৃপক্ষ।
News Source
 
 
 
 
Today's Other News
More
Related Stories
 
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
 
 
Home / About Us / Benifits / Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2013-2012, Allright Reserved