[ অনলাইন ] 09/05/2024 |
|
|
|
ডলুরায় শুল্কবন্দর চালু হইবে কবে |
|
|
সুনামগঞ্জের ডলুরা সীমান্তের আশপাশে প্রতিরাত্রে যে প্রকারে চোরাই হাট বসিতেছে, উহা উদ্বেগজনক। বুধবার প্রকাশিত সমকালের প্রতিবেদন অনুসারে, চোরাকারবারিরা সীমান্তের ঐপার হইতে পেঁয়াজ, রসুন, দারুচিনি, চিনি, এলাচ, কসমেটিকস, ফলফলাদির সহিত মদ-গাঁজাও লইয়া আসে।
ইহার সহিত সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভর উপজেলা সীমান্তে স্থানীয় প্রতিনিধি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতার বিষয়ও ‘ওপেন সিক্রেট’। অথচ সুনামগঞ্জের ডলুরায় প্রস্তাবিত ইমিগ্রেশনসহ শুল্কবন্দর হইলে উহাতে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে আসিত। উপরন্তু সরকার যদ্রূপ শুল্ক আয়ের মাধ্যমে লাভবান হইত তদ্রূপ ‘চোরাকারবারি’রাও আমদানিকারক হইতে পারিত।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও স্থানীয় প্রতিনিধিরাও ইতোমধ্যে তথায় ইমিগ্রেশন ও শুল্কবন্দরের প্রস্তাব করিয়াছেন। এমনকি ডলুরায় ১৯৯৯ সালে পরীক্ষামূলক শুল্কবন্দর চালুর ব্যাপারে উভয় দেশ সম্মত হইলেও তাহা বাস্তবায়ন হয় নাই।
সমকালের প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হইয়াছে, বিশ্বম্ভরপুরের ধনপুরের ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় টাকা আদায় ও টোকেন সরবরাহের মাধ্যমে চোরাই পণ্যের ট্রাক জগন্নাথপুরের রাণীগঞ্জ সেতু পর্যন্ত কোনো বিঘ্ন ব্যতিরেকেই যাইতে পারে। এই চোরাচালানের সঙ্গে সীমান্ত এলাকার শত শত মানুষ সংশ্লিষ্ট হইবার কারণে তথায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়াছে। এমনকি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে এইবার বোরো ধানের মৌসুমে শ্রমিক পাওয়া যায় নাই। কারণ অধিক অর্থোপার্জন হেতু শ্রমিকদের বৃহৎ অংশ রাত্রে সীমান্তে বস্তা টানিতে চলিয়া যায়।
আমরা জানি, দশকের পর দশক সীমান্তগুলিতে চোরাকারবারসহ বিভিন্ন কারণে বারংবার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিতেছে। এই পরিস্থিতি বন্ধ করিতে হইলে দুই দেশের সহযোগিতা দরকার। তবে সুনামগঞ্জ সীমান্তে যেহেতু চোরাচালান বাড়বাড়ন্ত, সেহেতু ইমিগ্রেশনসহ শুল্কবন্দর চালু করাই বুদ্ধিমানের কর্ম হইবে। আমরা চাই, নীতিনির্ধারকগণ বিষয়টা ইতিবাচকরূপে বিবেচনা করিবেন। বিকল্প হিসাবে সুনামগঞ্জসহ অন্যান্য সীমান্ত এলাকায় নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় সীমান্ত বাজার উন্মুক্ত করিয়া দিলে সকল পক্ষই উপকৃত হইবে। উহা না করিয়া এই প্রকারে চোরাচালান চলিতে দেওয়া ঠিক হইবে না।
|
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|