[ অনলাইন ] 02/07/2025
 
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১১ ব্যাংকের সম্পদের মান যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি খাতের আরও ১১টি ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই (একিউআর) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংকগুলোর প্রকৃত আর্থিক অবস্থা, বিশেষ করে খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি এবং বন্ধকী সম্পদের বাস্তব অবস্থা মূল্যায়নই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। এ কাজে বাংলাদেশ ব্যাংককে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এর আগে এডিবির সহায়তায় ৬টি ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানান, নতুন করে এই ১১টি ব্যাংকের গুণগত মান যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেসব ব্যাংকের সম্পদের মান যাচাই হবে, সেগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ইউসিবি, আইএফআইসি, এবি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক এবং মেঘনা ব্যাংক। এর আগে ৬টি ব্যাংকের সম্পদ যাচাইয়ে আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং এক্সিম, সোস্যাল ইসলামী এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের অছজ পরিচালনা করে। কেপিএমজি সম্পদ যাচাই করেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের। এই ছয়টির মধ্যে আইসিবি ইসলামিক ছাড়া বাকি ৫টি ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, একিউআর-এর ফলাফলের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। কোনো ব্যাংকের অবস্থা খুবই দুর্বল হলে একীভূতকরণ, অবসায়ন বা অধিগ্রহণের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে কোনো ব্যাংক নিজের সক্ষমতায় মূলধন ঘাটতি পূরণ করতে পারলে সেটিও বিবেচনা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ প্রক্রিয়ায় যাতে আইনি জটিলতা না হয়, সে জন্যই সরকার গত মে মাসে ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ-২০২৫’ জারি করেছে। জানা গেছে, একীভূতকরণের আওতায় থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে শিগগির নোটিশ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নোটিশে একীভূত না করার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে বলা হবে। কোনো ব্যাংক যদি বিশেষ ঋণ, মূলধন ঘাটতি এবং অন্যান্য নিয়মিত শর্ত যথাযথভাবে মেনে চলার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারে, তাহলে সেটিকে একীভূত করা হবে না।