[ অনলাইন ] 02/07/2025 |
 |
|
|
বেসরকারি খাতের ঋণে ধীরগতি
|
|
|
# মে শেষে ঋণের প্রবৃদ্ধি ৬.৯৫%। # আগের বছর ছিল ৯.৯০%। # মের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯.৮০%।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে। এর অংশ হিসেবে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ সুদহারও বেড়েছে। ফলে ঋণের খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি খাতে ঋণ গ্রহণে মন্থরতা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মে মাস শেষে বার্ষিক ভিত্তিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ, এক বছরে প্রবৃদ্ধি কমেছে ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অথচ চলতি অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান আর্থিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেসরকারি খাতের ঋণ চাহিদা প্রত্যাশিত হারে বাড়ছে না। একদিকে যেমন উচ্চ সুদের চাপ রয়েছে, অন্যদিকে সরকারের অতিরিক্ত ঋণগ্রহণ ও ব্যাংক খাতে তারল্যসংকটও প্রভাব ফেলছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বর্তমান কঠোর মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কিছুটা সহায়ক হলেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বিনিয়োগে। নীতি সুদহার ও ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদের কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন, ফলে অর্থনীতির গতি ধীর হচ্ছে। সরকারের রাজস্ব আয় কম থাকায় ব্যাংক থেকেই বেশি ঋণ নিতে হচ্ছে, যে কারণে বেসরকারি খাত আরও চাপে পড়ছে। বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে সহজ শর্তে ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুযোগ তৈরি করা জরুরি।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করেছে, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণের সুদহার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ থেকে ১৬ শতাংশে, যেখানে একসময় ছিল ৮ থেকে ৯ শতাংশ। |
|