[ অনলাইন ] 13/07/2025
 
এমটিবি ফাউন্ডেশন ও ইউসেপ বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
এমটিবি ফাউন্ডেশন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি) এবং ইউসেপ বাংলাদেশ মধ্যে “এমটিবি-ইউসেপ স্কিলস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (মুষ্টি)” নামক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। গত বুধবার ময়মনসিংহে দুই পক্ষের এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। 

৩ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প জুলাই ২০২৫ থেকে জুন ২০২৮ পর্যন্ত চলবে, যার মাধ্যমে ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রায় ১,২০০ জন সুবিধাবঞ্চিত যুবাকে (বয়স ১৭–৩৫) আধুনিক, চাহিদাভিত্তিক কারিগরি দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এখানে অংশগ্রহণকারীরা ছয় মাসে ৭২০ ঘণ্টা মেয়াদে পাঁচটি ট্রেডে: ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, টেইলারিং অ্যান্ড ড্রেস মেকিং, বিউটিফিকেশন, বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রি প্রোডাকশন এবং গ্রাফিক ডিজাইন প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন।

এমটিবি ফাউন্ডেশন – ইউসেপ-এর এই মুষ্টি প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো সুবিধাবঞ্চিত যুব ও নারীদের জন্য আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি, দক্ষতা ঘাটতি পূরণ এবং টেকসই জীবিকার সহায়তা প্রদান করে সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটানো।

এমটিবি ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমটিবি বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এর চেয়ারম্যান জনাব রাশেদ চৌধুরী, এমটিবি বোর্ডের পরিচালক ও এমটিবি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মিসেস খাজা নারগিস হোসেন, এমটিবি-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও জনাব সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এবং এমটিবি ফাউন্ডেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মিসেস সামিয়া চৌধুরী। এছাড়া ইউসেপ বাংলাদেশ-এর পক্ষ হতে বোর্ড অব গভর্নরস-এর ভাইস-চেয়ারপারসন মিসেস উজমা চৌধুরী, সিপিএ; সাবেক চেয়ারপারসন ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, সাবেক চেয়ারপারসন জনাব এ. মাতিন চৌধুরী এবং নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আবদুল করিম উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া উভয় প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের কর্মকর্তারাও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণে যুবসমাজকে শিল্প-মানসম্পন্ন কারিগরি দক্ষতায় দক্ষ করে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ 

এদিকে বর্তমান শ্রমবাজারের পরিবর্তিত চাহিদা মেটাতে যুব সমাজকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনাল দক্ষতা প্রদান অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে ইউরেশিয়া অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান কর্মসংস্থানে বাংলাদেশের যুবসমাজের সম্ভাবনা এবং সুযোগগুলির ওপর তারা জোর দেন।

মুষ্টি প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জাতীয় টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক (NTVQF)-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (NSDA)-এর মাধ্যমে স্বীকৃত সনদ অর্জনের সুযোগ থাকবে। এছাড়া প্রকল্পের অংশ হিসেবে একটি বিশেষ চাকরি সংস্থান কর্মসূচি থাকবে, যা শিক্ষার্থীদের দক্ষ হয়ে অর্থনীতিতে পুনঃঅন্তর্ভুক্তি সহজ করবে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে ময়মনসিংহ অঞ্চলে দক্ষতা ঘাটতি দূরীকরণ, আয় বৃদ্ধি এবং টেকসই জীবিকার সুযোগ তৈরি হবে, যা সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে এবং তাদের জীবনের মানোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।