[ অনলাইন ] 19/07/2025
| |
|
ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আইনি স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস
|
|
|
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ বৃহস্পতিবার একটি যুগান্তকারী ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল পাস করেছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত এই খাতকে আইনি স্বীকৃতি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। পাস হওয়া ক্লিয়ারিটি অ্যাক্ট ডিজিটাল মুদ্রা ও অন্যান্য ক্রিপ্টো সম্পদের জন্য একটি নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রক কাঠামো স্থাপন করে। যাতে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও কমোডিটি ফিউচার ট্রেডিং কমিশনের (সিএফটিসি) একসাথে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। বিলটি এবার সিনেটে উপস্থাপিত হবে।
হাউস আইন প্রণেতারা ‘জিনিয়াস অ্যাক্ট’ নামের আরেকটি বিল পাস করেছেন। সেটিও স্টেবলকয়েন নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে। এই ডিজিটাল মুদ্রাগুলো সাধারণত মার্কিন ডলারের মতো স্থিতিশীল সম্পদের সাথে সংযুক্ত থাকে। আইনটি দ্রুত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সিনেট ইতোমধ্যেই গত মাসে জিনিয়াস অ্যাক্ট অনুমোদন করেছে। এই আইনে ক্রিপ্টোকারেন্সি ইস্যুকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক রিজার্ভ রাখার নিয়মাবলি নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে তাদের জারি করা ডিজিটাল মুদ্রার সাথে সমপরিমাণ সম্পদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা যায়।
দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন আইনপ্রণেতাদের একাংশ ক্রিপ্টো খাতের প্রতি সংশয় প্রকাশ করে আসছিলেন। বিশেষ করে বিটকয়েনের উত্থানের পর সৃষ্ট বিভ্রান্তি এবং অনিয়ন্ত্রিত বিনিয়োগের ঝুঁকি নিয়ে। মূলধারার বিনিয়োগকারীদের এই খাত থেকে দূরে রাখার পক্ষেও মত ছিল।
তবে পরিস্থিতি পাল্টে যায় যখন গত বছর ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচনী প্রচারণায় ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারীরা বিপুল অর্থ অনুদান দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প তার আগের সংশয়ী মনোভাব ত্যাগ করেন এবং এই খাতের একজন প্রবল সমর্থক পল অ্যাটকিন্সকে এসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করেন।
ট্রাম্প সরকার একইসাথে একটি ‘ফেডারেল স্ট্র্যাটেজিক বিটকয়েন রিজার্ভ’ প্রতিষ্ঠা করে, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিচার বিভাগীয় জব্দ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারি হেফাজতে থাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবস্থাপনা ও তদারকি।
এই আইনি পদক্ষেপগুলোকে বিশ্লেষকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিপ্টো শিল্পের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখছেন। |
|