[ পাতা ৭ ] 19/07/2025
 
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মুনাফা কমেছে ৮%
মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসির চলতি ২০২৫ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসির চলতি ২০২৫ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে ৮ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৯৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ১১ পয়সায়।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ব্যাংকটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে ‌মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৫৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৮৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৭৫ পয়সায়।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটি। আলোচ্য হিসাব বছরে ‌মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ১২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৯১ পয়সায়।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সর্বশেষ ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘‌ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘‌এসটি টু’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসল)।

২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১০৬ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৫২৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১১০ কোটি ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৩৫। এর ৩৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৭২ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৯ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।