পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার গরমিলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই তাদের সাঁথিয়া থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম এবং বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত সুশীল চক্রবর্তীর ছেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী। ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন। সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক ওই শাখায় অডিট করতে যান। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পায় অডিট টিম। পরে ওই অডিট টিম সাঁথিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজনকে আটক করে রাতে থানায় নিয়ে আসে। 

এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ব্যাংক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ওই তিন কর্মকর্তার কেউ কোনো গ্রাহককে এ টাকা দেওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। যদি যথাসময়ের মধ্যে এ টাকা পুনরায় ব্যাংকের ক্যাশে জমা দিতে পারতেন তাহলে এমন ঘটনার সুযোগ ছিল না। সাঁথিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য বিষয়ে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।