কমিটির বৈঠকে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ১০টি প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করা হয়। কারণগুলো হলো বৈধ পথের তুলনায় অবৈধ পথে রেমিট্যান্সে বিনিময় হারের বেশ ফারাক, প্রবাসী কর্মীর বৈধ কাগজপত্র না থাকা, প্রবাসে বাংলাদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা না থাকা বা পর্যাপ্ত শাখার অভাব।
এ ছাড়া বাংলাদেশি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান না থাকা বা পর্যাপ্ত মানি এক্সচেঞ্জ পয়েন্ট না থাকা, রেমিট্যান্স প্রেরণে উচ্চ ফি বা সার্ভিস চার্জ এবং নির্ধারিত সীমা (সিলিং), হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য, অনেক ক্ষেত্রে প্রবাসীদের বা প্রবাসীদের নিকটাত্মীয়দের দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে না, আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রতিবন্ধকতা, অননুমোদিত ব্যবসা বা কাজের আয় বৈধ পথে প্রেরণের সুযোগ না থাকা, বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে সচেতনতা ও উৎসাহের অভাব।
এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কুমিল্লা জেলা থেকে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ৫৭২ জন বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৪৯ হাজার ৩৯১, চট্টগ্রাম থেকে ৪৩ হাজার ৮, টাঙ্গাইল থেকে ৩৮ হাজার ৭১২, চাঁদপুর থেকে ৩৪ হাজার ৯৫৬, কিশোরগঞ্জ থেকে ৩২ হাজার ৯০৭, নোয়াখালী থেকে ৩০ হাজার ৮৪১, ময়মনসিংহ থেকে ৩০ হাজার ৮০, নরসিংদী থেকে ৩০ হাজার ২৯ এবং ঢাকা থেকে ২৬ হাজার ৮৮৩ জন বিদেশে কর্মসংস্থান পেয়েছেন।